নয়াদিল্লি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে তারা। তবে এই মুহূর্তে মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবচ বহাল থাকছে। এদিকে, প্রাথমিকে চাকরি থেকে যে ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাঁদের মামলায় যুক্ত করতে হবে। এমনই নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের।
আরও পড়ুন- এবার শুভেন্দুকে নোটিস তমলুক থানার, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে জেরার সময় এবং স্থান
সিবিআই মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিলেও মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডির যে মামলা তার রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ দেওয়া সত্ত্বেও কেন মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করল ইডি, সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের ডিভিশন বেঞ্চ। ঠিক কী অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক? জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তিনি করেছিলেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। শীর্ষ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সিবিআইয়ের থেকে। কিন্তু পরে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে।
কিছুদিন আগেই মহিষবাথানের একটি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের অফিসে হানা দেয় ইডি। সেটি মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের অফিস বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই অফিসের কোনও যোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডি মনে করছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরিমুখী কোর্স করানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত এবং চাকরির আশ্বাসও মিলত এখান থেকে।