কলকাতা: আজ বিজেপির বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়েছে বিধানসভা। রাজ্যপাল অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করতেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁরা ওয়েলে নেমে চরম হইচই শুরু করেন৷ যার জেরে ভাষণ অসম্পূর্ণ থেকে যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পাল্টা বড় অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই ঘটনায় দ্বৈত ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি একহাত নিলেন তৃণমূল এবং বিজেপিকে।
আরও পড়ুন- গণতন্ত্রের লজ্জা, বিজেপি নাটক করেছে! বিধানসভার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা
আজকের ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুজন বলেন, মক ফাইট করছে তৃণমূল এবং বিজেপি। হাস্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। ফাজলামি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভোটে এত সন্ত্রাস হল, তা নিয়ে কোনও বিবৃতি নেই বিধানসভায়? এদিকে কে কাকে চিঠি দেবে, কে কার সঙ্গে কথা বলবে তা নিয়ে এই রকম পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ দুই দলকেই তিনি এই ইস্যুতে নিশানা করেছেন। সুজনের আরও বক্তব্য, বাজেট নিয়ে কোনও কথা বলা হচ্ছে না। সেটাই মানুষ জানতে চাইছে, কিন্তু তা নিয়ে কারোর কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কে কোন দল করছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিকে আজ বিধানসভার ঘটনায় বিজেপিকে চরম আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি নাটক করেছে। যা করেছে তা লজ্জা। বিধানসভায় আগে কখনও হয়নি। নজিরবিহীন অসভ্যতা। নিজের ওয়ার্ডে হারে তাও লজ্জা নেই।
অন্যদিকে, সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালকে হেনস্থা করেছে৷ তিনি যে লিখিত বক্তব্য পড়তে চাইছিলেন, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত৷ তিনি যা চেয়েছেন মন্ত্রিসভা সেটাই অনুমোদন করেছেন৷ এর উপর কোনও আলোচনার প্রয়োজন ছিল৷ তৃণমূল তা মানেনি৷ সেই কারণেই গণতান্ত্রিক উপায়ে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে প্রতিবাদ হয়েছে৷