কলকাতা: মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলায় আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। রাজ্য সরকারের কাছে ফের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল উচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বিদ্যুৎ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করে। বৃহত্তর মানুষের স্বার্থে রাজ্যের গ্রাম গঞ্জের রাস্তায় কত বিদ্যুত আছে। কোথায় কোথায় আছে কোথায় কোথায় নেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত। পাশপাশি মালদা ধর্ষণকাণ্ডে রাস্তায় আলো লাগানো নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন যেখানে আলো লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে, সেখানেই কাজ করা হয়েছে। তারপরেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিদ্যুৎ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, দেগঙ্গা ধর্ষণ নিয়ে মামলাকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিষয়টি দেখাশোনা করবেন বলে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইংরেজবাজার ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টে দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আদালত।
বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উচ্চ আদালত ২০ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
এই চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। চারটি ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, আমরা প্রতিটি ঘটনার পর আলাদা করে নজর রাখছি। যদি কোনও ঘটনায় আলাদা করে কোনও এজেন্সি বা কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা করব। এই ধরনের ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লি বা দেশের অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত।
মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে কংগ্রেসের আইনজীবী সুমিত্রা নিয়োগী হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। ১১ বছরের কিশোরীকে কয়েকজন যুবক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর করা হয় পাশবিক অত্যাচার। অন্যদিকে, মালদার নাবালিকা নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। সেই সময় তার হাত, পা বেধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে।