রাজ্যজুড়ে প্রবল তাপপ্রবাহ, রক্ষা পেতে কী করণীয়? পরামর্শ সরকারের

রাজ্যজুড়ে প্রবল তাপপ্রবাহ, রক্ষা পেতে কী করণীয়? পরামর্শ সরকারের

কলকাতা:  এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতেই তাপমাত্রার পারদ বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে রাজ্যবাসীকে একাধিক পরামর্শ দিল পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর।

পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জলপান করা জরুরি। তৃষ্ণার্ত না হলেও জলপান করতে করতে হবে। বাইরে বের হলে নিজের সঙ্গে সারাক্ষণ জল রাখতে হবে। রোদে বের হওয়ার সময় হালকা ও ঢিলেঢোলা পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রোদের হাত থেকে বাঁচতে মাথা সরাক্ষণ টুপি, তোয়ালে বা স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পাশাপাশি ছাতাও ব্যবহার করতে হবে। পায়ে জুতো পরে বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হালকা খাবার, জলীয় পদার্থ বেশি আছে এমন ফল যেমন শসা, তরমুজ খাওয়া প্রয়োজন।

পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে বাড়িতে তৈরি পানীয় যেমন লেবুর জল বা ঘোল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গৃহপালিত পশুদের ছায়ায় রাখার ও বেশি করে জল খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা, খসখসে ও সানশেড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাত্রে দরজা, জানলা খুলে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রবল রোদে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিনে রোদের মধ্যে বেশি পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। থামিয়ে রাখা গাড়িতে শিশু ও গৃহপালিত পশুদের না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রবল তাপপ্রবাহের ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলে পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘরের মধ্যে বা ছায়ায় ঠান্ডা অঞ্চলে দ্রুত নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। দ্রুত ভিজে কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। লবন জল বা নুন চিনি জল বা  ওআরএস দেওয়া প্রয়োজন। তবে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্ঞান ফেরার পরেই জল দিতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বলেও পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর সতর্ক করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =