কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে বড় চমক তা বলা যেতেই পারে। আচমকা নবান্নে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের নিয়ে চর্চার কোনও শেষ নেই এমনিতেই। কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে জনগণের কৌতূহল যে বাড়বেই তা একবারে স্পষ্ট। এদিন দুজনকে নবান্নে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। তাহলে কি আবার ঘাসফুল শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে ফেলেছেন যুগলে? প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন- পুলিশ যাবে না, বগটুই জ্বলুক! এমনই বলেছিল আনারুল, চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, আবার তৃণমূলেই ফিরতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর সেই অধ্যায় কেমন ছিল তা আলাদা করে এখন আর কাউকে মনে করানোর প্রয়োজন নেই। বিজেপির হয়ে বা বলা ভাল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেইভাবে কোনও কিছুই করতে পারেননি তারা। এক কথায়, পুরোপুরি ব্যর্থ। বারবারই তাঁর এবং বৈশাখীর সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মনোমালিন্য হয়েছে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে শোভন নিজের পরিচিত কেন্দ্র থেকে টিকিট পাবেন ভেবেছিলেন, কিন্তু সেটাও তাঁকে দেয়নি বিজেপি। সেটাই হয়তো বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শেষ পেরেক। তারপরও কেটে গিয়েছে বছর খানেকের বেশি। অবশেষে সেই ‘দিদি’র কাছেই ফিরে এলেন তৃণমূলের ‘কানন’। এবার দেখা যাক, খাতায়-কলমে শিবিরে ফেরেন কিনা তিনি বা তারা দুজন।
এর মাঝে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরেই চলে গিয়েছিলেন শোভন। ‘বান্ধবী’ বৈশাখীকে নিয়েই তিনি আড়ালে দিন কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁকে বা তাদের নিয়ে চর্চা কম ছিল না। কিন্তু তাদের নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। বা বলা ভাল, এই ধরণের আলোচনা তাদের নিয়ে দরকার পড়েনি। কিন্তু এটাও ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদ্ভাব বরাবরই ছিল। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনও রসাতলে যায়নি। তবে প্রশ্ন একটাই, শোভন দলে ফিরলে তাঁকে আদতে কোনও পদ দেবেন কিনা মমতা। একই সঙ্গে, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বিষয়টি তিনি কী ভাবে আলোচনা করবেন বা রত্না আদৌ কোনও বাধা হবেন কিনা, সেই নিয়েও কৌতুহল রয়েছে।