কলকাতা: হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তবে শুধু যে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ তা নয়। কারণ বিগত কয়েক মাসে পরপর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বাংলাতে। পিংলা থেকে শুরু করে বোলপুর, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, ভাঙর সব জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা। একাধিক ঘটনায় আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য জড়িত। যা নিয়ে বড় অস্বস্তিতে মমতা সরকার। সম্প্রতি আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে হইহই ফেলেছেন। যে মন্তব্যের নিন্দা সর্বত্র হচ্ছে। তবে এখন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেছে বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন- BJP-র রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে, দার্জিলিং থেকে হুঙ্কার মমতার
সৌগতর বক্তব্য, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার বিষয়। তবে এর পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে, পুলিশ-প্রশাসন নিজেদের কাজ ঠিকভাবে করবেন বলেও তিনি আশা রাখছেন। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট আয়োজিত দক্ষিণেশ্বরের এক কর্মসূচিতে জগ দেন সাংসদ। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি। এখন বিরোধীরা তো বটেই, বিশেষজ্ঞদের একাংশও মনে করছে যে তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে যেখানে সমালোচনা হচ্ছে, সেখানে তাঁরই দলের সাংসদ ‘বেসুরো’ মন্তব্য করছেন। এতে দলীয় ভারসাম্য কতটা কী থাকবে তা নিয়েও একটা প্রশ্ন উঠছে। আর ঠিক এই জায়গাতেই খোঁচা দিচ্ছে একাংশ বিরোধী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, সৌগত রায় যা বলেছেন তা ঠিক। কিন্তু যতটা জোর দিয়ে বলার কথা ছিল ততটা জোর দিতে পারেননি তিনি। কারণ তাঁর নিজের দল থেকেই বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। ওদিকে, মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হয়ে যে মন্তব্য করেছেন মমতা তার সমালোচনাও জোর দিয়ে করা যাবে না তাদের পক্ষে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল আবার তৃণমূলের অন্য এক সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ‘পারিবারিক তত্ত্ব’ ব্যাখ্যা করেছেন ধর্ষণ নিয়ে। যা অধিকাংশ কেউ ভালোভাবে নেয়নি।