হাঁসখালি-কাণ্ড দ্বিতীয় নির্ভয়া কেস, গলায় গামছা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত: শুভেন্দু

হাঁসখালি-কাণ্ড দ্বিতীয় নির্ভয়া কেস, গলায় গামছা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত: শুভেন্দু

a5d87d974b31c95097a3c5b587e51ae3

নদিয়া: নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য৷ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতারা। সেই দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, হাঁসখালির ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল নেতারা। অভিযুক্ত সবাই শাসকদলের নেতা বলেও সুর চড়ান তিনি৷ পাশাপাশি, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি৷ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত! মা বলছে আমার মেয়ে গর্ভবতী নয়। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আগামিকাল এখানে এসে গলায় গামছা দিয়ে পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’

আরও পড়ুন- হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

হাঁসখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ ঘটনার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে৷ মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের কেস ডায়েরি এবং আদালতে দেওয়া রাজ্যের বয়ানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রাজ্যের তরফে জানানো  জানিয়েছিল, নির্যাতিতার দেহ কোনও শ্মশানে দাহ করা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর কোনও শংসাপত্র নেই। কিন্তু কেস ডায়েরি বলছে,  দেহ সৎকার করা হয়েছে শ্যামনগর-অতীরপুর শ্মশানঘাটে। 

এদিকে, ঘটনার রাতে নির্যাতিতাকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগ, স্থানীয় কলাতলা মোড়ে একটি মনোহারি দোকানের মালিক রসময় বিশ্বাস ওই মাদক সরবরাহ করেছিলেন৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।