‘এখন মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল’, বগটুই-কাণ্ডে তীব্র আক্রমণ শমীকের

‘এখন মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল’, বগটুই-কাণ্ডে তীব্র আক্রমণ শমীকের

কলকাতা:  বগটুই নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতির মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, কিছু দিন আগেই ২১৩টি আসন পেয়ে তৃতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে তৃণমূল সরকার৷ পুরসভা নির্বাচনে ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ এই সরকারের দাবি, রাজ্যে বিরোধী নেই, বিরোধীদের প্রার্থী নেই, এজেন্ট নেই, কোনও সংগঠন নেই৷ মানুষ তাঁদের উপর ভরসা রেখেছে৷ কিন্তু, সেই মানুষই যে কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইছে৷ নিহত ও আক্রান্তদের পরিবার, আনিস খানের পরিবার, ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবার সকলে সিবিআই চেয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- বগটুইয়ে ফরেনসিক টিম, নমুনা সংগ্রহে বাড়ল গতি

তাঁর কথায় আদালতও বলেছে, এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই৷ শাসকের আইন আছে৷ আজ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বগটুই কাণ্ডে সিট এর তদন্তে কোনও কার্যকরী প্রভাব নেই৷ তদন্তের নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিট-কে৷ আজকের পর কোনও ঘটনায় রাজ্য সরকারের তদন্ত নিয়ে মন্তব্য করার কোনও রাজনৈতিক বা নৈতিক অধিকার নেই৷ 

তোপ দেগে শমীক বলেন, এতদিন বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকরা খুন হচ্ছিলেন, আক্রান্ত হচ্ছিলেন৷ এখন মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল৷ তাঁর দাবি, এখানে এমন সমাজ হয়েছে যেখানে মরছে সংখ্যালঘু, মারছে সংখ্যালঘু৷ আজ সংখ্যালঘু পরিবারে সদস্যরাও সিবিআই তদন্ত চাইছে৷ তাঁর কথায়, প্রকাশ্যে বিভেদের রাজনীতি করে এক শ্রেণির মানুষকে যাঁরা খেপিয়ে তুলেছে, যাঁরা প্রতিদিন সংখ্যালঘু মহল্লায় দাঁড়িয়ে গুজরাতে গোধরার কথা স্মরণ করান, মনে রাখতে হবে গুজরাতে কিন্তু বিচার হয়েছিল৷ শুঘু তাই নয়, প্রকাশ জয়সওয়াল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সেদিন পুলিশ ও সেনা জন সংঘর্ষ বা দাঙ্গা থামাতে যে গুলি চালানো হয়েয়েছে তাতে ৭৯০ জন হিন্দু এবং ২৭৪ জন মুসলিমের মৃত্যু হয়েছিল৷ ২০০২ সালের পর উত্তরপ্রদেশে কোনও দাঙ্গা নেই৷ দাঙ্গা মুক্ত সরকার গড়ে তুলতে পেরেছে একমাত্র বিজেপি৷