পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা

পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন, বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা

শিলিগুড়ি: পৃথক রাজ্যের দাবিতে সকাল থেকেই উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রেল লাইন আটকে বিক্ষোভে নামে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরাম। রেল রোকো আন্দোলনের জেরে জায়গায় জায়গায় আটকে ট্রেন। ময়নাগুড়িতে আটকে পরে কলকাতা গামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সাতসকালে ট্রেন আটকে পড়ায় বাচ্চা, বয়স্কদের নিয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সমস্যায় পড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাও বলেন যাত্রীরা।

উত্তরবঙ্গের তিন জায়গায় ১২ ঘণ্টার রেল রোকো কর্মসূচি নিয়েছে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। এদিন সকালে কর্মসূচি শুরু হতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পরিষেবা।  নিউকোচবিহার স্টেশনে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা, কিন্তু ট্রেনের দেখা নেই। রেল রোকো আন্দোলন ব্যর্থ করতে এদিন ভোররাত থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীরা যাতে স্টেশনের ভেতর প্রবেশ করতে না পারে সেইজন্য গোটা স্টেশন চত্বর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। নিয়ে আসা হয়েছে জল কামান।

মাথাভাঙ্গার ঘোকসাডাঙ্গা স্টেশন পুলিশের নিরাপত্তায় মোড়া। কেপিপির জেলা সভাপতি কংসরাজ বর্মনকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রহরার একই ছবি মালদা একলক্ষী জংশন স্টেশনেও। পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিকে সফল করতে ৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গজুড়ে রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড জয়েন্ট ফোরাম। কর্মসূচি নিয়ে সকাল থেকেই ভিড়  জমান আন্দোলনকারীরা। রেল লাইনে বসে চলে বিক্ষোভ। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং মালগাড়ি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন রেল আধিকারিকরা। নিউ জলপাইগুড়ি ডিভিশনের স্পেশাল ডি আর এম পীযুষ পান্ডে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।  দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর রেল আধিকারিকের আশ্বাসে উঠে যায় অবরোধ৷ যদিও, নিজেদের কর্মসূচিকে এদিন সফল বলেই দাবি করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের তরফে নির্দেশ আসার পরেই জমায়েত ভেঙে দেন কর্মীরা। পুরো রেললাইন চত্বর ফাঁকা করে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − three =