নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার গ্রেফতার হলেন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত গরু পাচার নিয়ে সতীশ কুমারকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরা করার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, পাচারকারীদের থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালে সিবিআই তাঁকে একই কাণ্ডে গ্রেফতার করেছিল। পরে অবশ্য জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার নন্দীগ্রামের তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান! কারণ কী
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত মালদা এবং মুর্শিদাবাদে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬ টি ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন সতীশ কুমার। সেই সময় থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল যে তিনি এবং আরও বেশ কয়েক জন পাচার কাণ্ডে যুক্ত। শুধু তাই নয়, পাচার চক্রের অন্যতম কাণ্ডারী এনামুল হকের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ আছে। এই সময়েই পাচারের সময় ২০ হাজার গরু সীমান্তরক্ষী বাহিনী ধরেছিল। সেগুলি পরে নিলামে তোলা হয় এবং টাকা ভাগাভাগি করা হয় বলেই জানা গিয়েছে। এদিন সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করার পর ইডি জানিয়েছে, সতীশ কুমারের বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী ভাবে চলত এই কারবার? তথ্য উঠে এসেছে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চলত গরু পাচারের কারবার৷ কলমের এক ‘খোঁচা’য় গরুকে বাছুর বানিয়ে দেওয়া হত৷ গরু পাচারের মূল অভিযুক্তর সঙ্গে যুক্ত থেকে এই কাজে সহযোগিতা করতেন এই বিএসএফ-কর্তা৷ আগে সিবিআই জেনেছিল, এই সতীশ কুমার গরু পাচার কাণ্ডের মূল চক্রি এনামুল হকের থেকে মোটা টাকা ‘বেতন’ নিতেন৷