কলকাতা: চার পুরভোটে তৃণমূল জিতে আসার পর সবথেকে বড় চর্চার বিষয় ছিল বিধাননগর। কে হবেন সেখানকার মেয়র, এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ছিল। সব্যসাচী দত্ত না কৃষ্ণা চক্রবর্তী, কাকে দায়িত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল সকলে। অবশেষে গতকাল ঘোষণা হয়ে গেল যে, বিধাননগরের মেয়র হচ্ছে কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সবস্যাচী হয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তাতে কি অভিমান হয়েছে ফের তৃণমূলে ফিরে আসা সব্যসাচীর? তিনি বলছেন, না।
আরও পড়ুন- ১২ ঘণ্টা আগেই মেট্রোর টিকিট বুকিং! কীভাবে সম্ভব
দল বদল করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপিরই টিকিটে লড়েছিলেন তিনি কিন্তু বিধাননগরে সুজিত বসুর কাছে পরাজিত হন। তারপরে বেশি সময় লাগেনি, ‘ভুল’ বুঝতে পেরে ফিরে আসেন আবার তৃণমূল কংগ্রেসে। এবারের পুরভোটে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পান সব্যসাচী। জয়ও পান। অনেকেই ভেবেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো মেয়র পদের জন্য আবার সব্যসাচীর ওপরই ভরসা রাখবেন। কিন্তু তা হয়নি। তবে এই নিয়ে একটুকু অভিমান নেই সব্যসাচীর। তিনি বলছেন, ভুল করেছিলেন তারপরেও দল ফিরিয়ে নিয়েছে, তাঁকে টিকিট দিয়েছে। এটাই অনেক বড় ব্যাপার। মেয়র না হওয়ার জন্য তাঁর কোনও রকম অভিমান নেই। বরং কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মেয়র হওয়ার পর কৃষ্ণা জানাচ্ছেন, তিনি আপ্লুত। এক সময় যাকে দেখে তিনি কলেজে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, তিনি আজ তাঁর ওপর ভরসা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অভিভাবক, এমনই বলছেন তিনি। পাশাপাশি সব্যসাচীর মতই তিনি জানাচ্ছেন, মিলেমিশে কাজ করতে হবে সকলের উন্নয়নের জন্য।
প্রসঙ্গত, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়। চেয়ারম্যান হচ্ছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন অভিজিৎ ঘটক এবং ওয়াসিমুল হক। আর চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। আর শিলিগুড়ির মেয়র কে হবেন তা আগে থেকেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব।