কলকাতা: ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’ বা (STEA) দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে বকেয়া সহ সমস্ত ডিএ প্রদানের দাবি তোলা হয়েছে। আগামী ১১ জুন কলকাতায় এক মহামিছিলের আয়োজনও করেছে তারা। তবে আজ SSC নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী ও আধিকারিকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি, বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ, লস্ট ইনক্রিমেন্টাল এরিয়ার সহ বিভিন্ন বকেয়া এরিয়ার প্রদান, নবনিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কনফার্মেশনের ব্যবস্থা, ডায়মন্ডহারবার ADI অফিসের স্থায়ী স্থানান্তর সহ শিক্ষক,শিক্ষিকা, গ্রন্থাগারিক, করণিক ও শিক্ষাকর্মীদের বিভিন্ন পেশাগত সমস্যা সমাধানের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতরে বিক্ষোভ দেখানো হয় ও ডেপুটেশন দেওয়া হল।
সমিতির জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, “জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত কুমার মাইতি ও ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ একাউন্ট অভিজিত নস্করের নিকট বিক্ষোভ অবস্থান ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। লস্ট ইনক্রিমেন্টাল এরিয়া সহ বেশ কয়েক বছরে যে সমস্ত বকেয়া এরিয়ার পাওনা আছে তা এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানান জেলার ডি আই। নবনিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মীদের কনফারমেশনের ব্যবস্থাও দ্রুত সম্পন্ন করবেন বলে তিনি জানান।” কিন্তু সমস্যাগুলি সমাধান না হলে বিকাশ ভবনে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের কাছে জেলার সমস্যাগুলি তুলে ধরবেন বলে জানান জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার।
এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, রাজ্য সভানেত্রী রিতা সরকার, কোষাধক্ষ্য অরুণ কুমার চ্যাটার্জী জেলা সভাপতি পঞ্চানন ময়রা, সম্পাদক অনিমেষ হালদার, অমিত হালদার, বামদেব হালদার প্রসেনজিৎ হালদার, ঝন্টু মাইতি প্রদ্যুৎ হালদার, সূর্যকান্ত হালদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আজ তারা যে দাবি জানিয়েছেন তা হল:- ১। ডি আই অফিসে অনলাইন ফাইল ট্র্যাকিং পুনরায় চালু করতে হবে। ২। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবিলম্বে লস্ট ইঙ্ক্রিমেন্টাল এরিয়ার প্রদান করতে হবে। ৩। বিভিন্ন কারণে প্রাপ্য বকেয়া এরিয়ার প্রদান করতে হবে। ৪। সকল স্কুলকে ROPA-2019 অপশন ফিক্সেশনের কনসলিডেটেড স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে। ৫। ডায়মন্ডহারবার ADI অফিস কোনো স্থায়ী ভবনে দ্রুত স্থানান্তর ও কাকদ্বীপ AI অফিসের দুরবস্থা নিরসন করতে হবে। ৬। দ্রুত অ্যাপ্রুভাল প্রদান করতে হবে।
৭। অ্যাকাউন্ট সেকশনের ফাইল ও পেনশন সেকশনের ফাইলের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ৮। নবনিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের দ্রুত কনফারমেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৯। SSC নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত সকল ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চুক্তিভিত্তিক নয় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে, সকল শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। ১০। হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে বকেয়া সহ সমস্ত ডিএ প্রদান করতে হবে এবং ১১। জেলার সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে ডিআই অফিসের কাজের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গতিশীলতা আনতে হবে।
এদিন গোটা জেলা থেকে দেড় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী এই ডেপুটেশনে যোগদান করেন।