কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে৷ জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ এই মামলায় একক বেঞ্চের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে তারা সহমত৷ এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘একক বেঞ্চ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে করে না ডিভিশন বেঞ্চ৷ প্রভাবিত সব পক্ষের বক্তব্য সব সময় শুনতে হবে, এমন কোনও বিধিবদ্ধ আইন বা নিয়ম নেই৷ এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ এসএসসি’র পক্ষে যায়নি’। ফলে একক বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে সিবিআই৷ ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না৷ পাশাপাশি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িত বলেও মনে করছে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় CBI তলব, CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা বিধায়ক পরেশ পালের
এসএসসি-র গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মোট ৭টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, মামলাগুলি স্থগিত রাখা হয়। এবং প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে ডিভিশন বেঞ্চ । ওই কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির অনুসন্ধান করে ডিভিশন বেঞ্চে জানায়, স্কুলে গ্ৰুপ-সি এবং গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে৷ বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতকে জানান, গ্ৰুপ-সি পদে মোট ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাইতেই বসেননি৷ বাকিরা পাশ করেনি। বাগ কমিটি ডিভিশন বেঞ্চকে এ-ও জানায়, গ্ৰুপ-ডি পদেও বেআইনি ভাবে ৬২৪ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কাউকে রেয়াত নয়, সিবিআই চাইলে যে কোনও সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেও সাফ জানিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে সমস্ত মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চে৷ ফলে এবার সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্ছ চট্টোপাধ্যায়কেও৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>