কলকাতা: রামপুরহাট কাণ্ডে হাইকোর্টে সিটের রিপোর্ট পেশ করেছেন এডভোকেট জেনারেল। সেই রিপোর্ট পেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জেনারেলের কাছে জানতে চান, যারা মারা গিয়েছেন তারা কি শিক্ষিত খুব? তা না হলে মৃত্যকালীন জবানবন্দিতে একই রকমের লেখা এবং একই হাতের লেখা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, চিকিৎসকের উপস্থিতিতে এগুলো নেওয়া হয়েছে। কোনও একজন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নেওয়া হয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পরই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন- ব্রেকিং: ফের অভিষেককে তলব ইডির! এই মাসেই আবার হাজিরার নির্দেশ
এদিকে আদালতে আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, FIR-এ উল্লেখ থাকতে হবে পুলিশ কখন গিয়ে পৌঁছে ছিল। ঘটনা কখন হয়েছিল। পুলিশ কখন খবর পেয়েছিল দমকল আগে পৌঁছেছে না পুলিশ আগে পৌঁছেছে। তাহলেই বোঝা যাবে খবর পাওয়ার পর পুলিশের উদ্যগ কী রকম ছিল। সামগ্রিক বিষয়টি কেস ডাইরিতে উল্লেখ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, একটা ঘরে ৭ জনের মৃত্যু হল। কী ভাবে একটা ঘরে সাত জনের মৃত্যু হতে পারে সেই নিয়ে কেস ডায়েরি বা তদন্তে কোনো উল্লেখ নেই। এই বিষয় এজি বলেন, রাজ্য তদন্ত করছে। তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকেও পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের রিপোর্টে এখনো পর্যন্ত খুশি। তাই এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এই বক্তব্যের শেষে কেস ডায়রি ফেরত দেওয়া হয়। তবে তা আবার চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। রামপুরহাট কাণ্ডে হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন কেস ডাইরি জমা দিয়ে এজি আদালতে আগেই জানিয়েছিলেন, প্রত্যক্ষদর্শী বা সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তবে বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘটনাস্থলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তখন তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন তিনি। এতে কোনও অসুবিধা থাকার কথাই নয়।