মানিকের অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, নিয়োগ বাতিল নিয়েও বড় রায়

প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশের ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয় এমনটা জানিয়েছে আদালত

নয়াদিল্লি: মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আপাতত সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাবে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে তারা। একই সঙ্গে প্রাথমিকে চাকরি থেকে যে ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাঁদের মামলায় যুক্ত করতে হবে। এই প্রেক্ষিতেই আরও বড় নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রাথমিকে এই ২৬৯ জনের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশের ওপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয় এমনটা জানিয়ে অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও মানিক ভট্টাচার্যকে পুনর্বহালের কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন- এবার শুভেন্দুকে নোটিস তমলুক থানার, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে জেরার সময় এবং স্থান

সিবিআই মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিলেও মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ইডির যে মামলা তার রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ দেওয়া সত্ত্বেও কেন মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করল ইডি, সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের ডিভিশন বেঞ্চ।

ঠিক কী অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক? জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তিনি করেছিলেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। শীর্ষ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সিবিআইয়ের থেকে। কিন্তু পরে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + twenty =