বস্ত্রহরণ চলছে বাংলায়! বিবরণ দিতে গিয়ে গলা ভারী হল ‘দ্রৌপদী’র

বস্ত্রহরণ চলছে বাংলায়! বিবরণ দিতে গিয়ে গলা ভারী হল ‘দ্রৌপদী’র

76a6b208c188a5d0091e02393a7179fe

কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের কথা বলতে গিয়ে সংসদে কেঁদে ফেলেছিলেন বিজেপির সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এবার পরোক্ষে হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে গলা ভারী হয়ে এল তাঁর। সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নাম না করে হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেন রূপা। যাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারা কী অনুভব করছে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাতেই মনে করিয়ে দেন মহাভারতের দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সেই দৃশ্যের কথা। কথা বলতে বলতেই প্রায় কেঁদে ফেলেন রূপা।

আরও পড়ুন- হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, ‘ফাঁসি হোক’, চাইছে পরিবার!

 

টিভির পর্দায় যে মহাভারত ধারাবাহিক দেখানো হয়েছিল সেখানে দ্রৌপদীর ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বস্ত্রহরণের দৃশ্যের কথা সাংবাদিককে বলতে গিয়েই তাঁর গলা বুজে এল। তিনি বলেন, শ্যুটিংয়ের সময় তিনি দিনের পর দিন কষ্টের মধ্যে কাটাতেন। কাঁদতেন হোটেলে ফিরে এসে। ওই সময়ে সবাই বলত যে তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন। কিন্তু বিষয়টা তেমন ছিল না। তিনি সত্যিই ওই দৃশ্য অনুভব করতেন। এই প্রেক্ষিতেই নাম না করে হাঁসখালির কথা বলেন তিনি। দাবি করেন, মহাভারতের ওই দৃশ্যের মতোই বাংলার নারীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। রূপার কথায়, ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের সময়ে তিনি দেখতেন প্রকাশ্য সভায় সবাই দেখছে, হাসছে আর তাঁকে বিবস্ত্র করা হচ্ছে। একজন নারীকে যদি এই ভাবে জনসমক্ষে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয় তবে তাঁর মধ্যে কী হয় সেটা তিনি জানেন।

সেই বিষয়টিকেই পরোক্ষে হাঁসখালি কাণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনি। রূপার প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গবাসী কী করে মেনে নিচ্ছেন? যাদের মেরে ফেলা হচ্ছে তাদের পরিবার কীসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা কেউ ভাবছে না। আর যারা অত্যাচার সহ্য করে বেঁচে আছে তারা কী অনুভব করছে সেটা ভেবে দেখা উচিত সকলের। তাঁর পরামর্শ, সবাই অন্তত একবার নিজের পরিবারের কোনও সদস্যের মুখ ওই নির্যাতিতাদের সঙ্গে মেলাক। অনুভব করার চেষ্টা করুক তারা কী কষ্ট পাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *