কলকাতা: সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই খবর একদমই পছন্দ হয়নি তাঁর স্বামীর। বন্ধুদের সঙ্গে ফন্দি করে স্ত্রীকে ‘শাস্তি’ দিতে তাঁর হাত কেটে দিয়েছিল সে। নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল বাংলা। কিন্তু হার মানেননি রেণু খাতুন। টানা নয় দিন হাসপাতালের ‘যুদ্ধ’ লড়ে শেষমেষ জিতে বাড়ি ফিরলেন তিনি। এখন নতুন জীবন শুরুর অপেক্ষা। নতুন চাকরি জীবন অনুভব করার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন- বিচারপতির অনুরোধ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোমার চাকরির জন্য মমতাকে ধন্যবাদ অভিজতের
রেণুর স্বামী শের মহম্মদ তাঁর ডান হাতের কবজি কেটে নিয়েছিল। আপাতত সে ছাড়াও আরও কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে এই ঘটনায়। তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করছে রেণু এবং তাঁর পরিবার। তবে এই মুহূর্তে রেণু চাইছে নিজের সুস্থ জীবন নিয়েই ভাবতে। কিছু দিন আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রেণু খাতুনের চাকরির চিঠি প্রস্তুত। নন নার্সিং পদে কাজ করবেন তিনি। কত টাকা বেতন পাবেন তাও ঠিক করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁকে কৃত্রিম হাত দেওয়া হবে বলেও জানান হয়। সেই আশাতেই এখন দিন গুনছে রেণু। তাঁর কথায়, সুস্থ হলেই সে চাকরিতে যোগ দেবে, হাতও লাগাবে। যদিও তাতে মাস তিনেক সময় লাগবে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে একটা বিষয় রেণু পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, শ্বশুরবাড়ি আর ফিরতে চান না তিনি। নিজের বাড়িতে থেকেই নতুন জীবন শুরু করতে ইচ্ছুক রেণু। আজ হুইল চেয়ারে বসিয়ে রেণুকে হাসপাতাল থেকে বার করে আনেন তাঁর আত্মীয়রা। এর পর গাড়িতে চড়ে তিনি রওনা দেন কেতুগ্রামে চিনিসপুরের বাড়ির উদ্দেশে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, তাঁকে আপাতত বেশ কয়েক দিন বিশ্রামে থাকতে হবে।