কলকাতা: ভোট গণনা শুরু হতে না হতেই আশা প্রকাশ করেছিলেন কোচবিহার পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি দাবি করেন, ১০৮টি পুরসভাতেই বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। জয় নিয়ে তিনি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। আপাতত গণনায় যা দেখা যাচ্ছে তাতে সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিতই মিলছ। কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজে তো জিতেছেনই, উত্তরবঙ্গেও ভাল ফল করতে চলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- শখে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনাই কাল, দুর্ঘটনার কবলে ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন বাদ্যকর
মালদহ, নবদ্বীপ থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, বর্ধমান, সব জায়গায় ঘাসফুলের হইহই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মহেশতলায় প্রায় ৩৪ ওয়ার্ডে এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। বাঁকুড়া পুরসভায় দু’টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী, নবদ্বীপ পুরসভায় ১ থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। আবার জলপাইগুড়ি, ডালখোলাতেও বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় সবুজ আবির খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থক এবং নেতারা। ভোট হওয়ার অনেক আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা, বজবজ, সিউড়ি, সাইথিয়া দখলে চলে গিয়েছে শাসক দলের। ১০৮ পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ২ হাজার ২৭৭ টি। এর মধ্যে ১০৩ টিতে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে।
ভোট গণনার পর বিজয় মিছিল নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক নির্বাচন কমিশন। কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিজয় মিছিলে ছাড় রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা যাবে না। যে কোনও জায়গায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
