বাজারে চড়া আলুর দাম, চন্দ্রমুখীর পিছু নিয়ে আকাশ ছোঁয়া জ্যোতিও, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

বাজারে চড়া আলুর দাম, চন্দ্রমুখীর পিছু নিয়ে আকাশ ছোঁয়া জ্যোতিও, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

কলকাতা: সবজির বাজারে আগুন৷ ধরা ছোঁয়ার বাইরে চন্দ্রমুখী আলু৷ কলকাতার বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিকোচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে৷ কম যাচ্ছে না জ্যোতি আলুও৷ এক কেজি জ্যোতি আলুর দাম ৩০ টাকা৷ তবে কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছে টাস্ক ফোর্স৷ 

আরও পড়ুন- গোটা বাড়িই চলে গিয়েছে নদীগর্ভে, অশনির সংকেতে আতঙ্কিত সীমান্তের গ্রাম

তার নামই যে চন্দ্রমুখী৷ ফলে দাম যে বেশি হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক৷ কিন্তু তা বলে এত বেশি৷ কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে৷ এদিকে রান্নার গ্যাস হাজার ছাড়িয়েছে, ধরাছোঁয়ার বাইরে কেরোসিন, ভোজ্য তেল আকাশ ছোঁয়া৷ তারই মধ্যে মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে চন্দ্রমুখী পৌঁছল ৪০ টাকায়৷ রবিবার যদুবাবুর বাজার ছিল প্রায় ফাঁকা৷ এক মাসেও এতটা ক্রেতার অভাব ছিল না৷ কিন্তু সবজি, বিশেষ করে হেঁশেলের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে বাজার থেকে মুখ ফেরাতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা৷ শুধু তাই নয়, যদুবাবু বাজার থেকে মানিকতলা, দুই বাজারেই কার্যত অমিল আলু৷ হাতেগোনা কিছু দোকানে দেখা মিলেছে চন্দ্রমুখী, জ্যোতির৷ কিন্তু, দর ৪০ টাকা কেজি৷ চন্দ্রমুখীর পিছু নিয়ে জ্যোতি পৌঁছে গিয়েছে ৩০ টাকা কেজিতে৷ এক সপ্তাহে কেজি প্রতি আলুর দাম ১০ টাকা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে বিক্রেতারা৷ 

মানিকতলা বাজারের এক আলু বিক্রেতা বলেন, বাজারে দু’নম্বর আলু আসছে৷ চন্দ্রমুখীর দেখাই মিলছে না৷ অনেকেই জ্যোতি আলুকে চন্দ্রমুখী বলে বিক্রি করছেন৷ বাজারে চন্দ্রমুখী নেই৷ এদিকে, আলু ছাড়া যে রান্নাঘর অন্ধকার! চড়া দামের ধাক্কায় পরিমাণে কম আলু কিনছেন ক্রেতারা৷ তাঁরা বলছেন, বাজার এত চড়া যে বেঁচে থাকাই দায়৷ যদুবাবুর বাজারে আসা অপর এক ক্রেতার কথায়, জ্যোতি আলুই নিয়েছি৷ চন্দ্রমুখী নিতে পারব না৷ যদিও টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, আমাদের রাজ্যে এমনিতেই চন্দ্রমুখী আলু কম উৎপাদন হয়৷ উত্তরবঙ্গের আলু ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে আসা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দক্ষিণবঙ্গেও স্টোর খুলে যাবে৷ বাজারে আলু ছাড়া হবে৷ স্টোর খুলে গেলে কিছুটা হলেও পরিস্থিতির বদল হবে৷ আশা করা যায় ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই পরিবর্তন আসবে৷ 

একদিকে চন্দ্রমুখীর জোগান কম, অন্যদিকে, বৃষ্টির জেরে জ্যোতির ফলন কম৷ দুই আলু নিয়ে আলুথালু অবস্থা ক্রেতাদের৷