মধ্যরাতে পুলিশি নির্যাতন, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা

মধ্যরাতে পুলিশি নির্যাতন, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা

bd27b96da9fb831737898fb19fc9d7c0

কলকাতা: টেট  উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ তাহলেই আন্দোলন থামবে৷ আদালতের সামনে এই  দাবি তুলে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। শুক্রবার মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও তা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’।

আরও পড়ুন- সুদের টাকা না মেটানোর শাস্তি! রেললাইনে বেঁধে রাখা হল সরকারি কর্মীরে, পা কাটল ট্রেনে

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকাই সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর এপিসি ভবনের সামনে থেকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অনশন থেকে তুলে দেয় পুলিশ। অবস্থান উঠেছে ঠিকই, কিন্তু আন্দোলন থামেনি। গতকাল রাতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও ২০১৪ সালের টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ফের ফিরবেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আন্দোলনকারীদের নম্বর প্রকাশের আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি চাওয়া হল। 

পাশাপাশি গতকাল মধ্যরাতে পুলিশ যে ভাবে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েও কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ আদালতে অমিত মজুমদার, শুভঙ্কর ঘোষ এবং শান্তনু  দেবনাথ নামে তিন মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ আগামী ২৮ অক্টোবর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন৷ ২০১৪ সালে টেট পাশ করার পর দু’বার ইন্টারভিউ দিলেও তাঁদের চাকরি হয়নি। তাঁদের দাবি এ বার সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের৷