নন্দীগ্রাম: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কার্যত বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও বিক্ষোভের ঘটনায় এখনও স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। তাই কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও দোলা সেন। এদিন বিকেলে দুই রাজ্য নেতৃত্বের নন্দীগ্রামে আসার কথা রয়েছে। সাংগঠনিক সভায় ডাক পেয়েছেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। কিন্তু ওই সাংগঠনিক সবাই ডাক পায়নি নন্দীগ্রামে আর এক তৃণমূল নেতা আবু তাহের৷ এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের অনুগামীরা।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে অনুগামীরা স্লোগান দিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অনুগামীরা তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাসকে দূর দূর দূর হাঁটাও বলে স্লোগান দেন। বস্তুত, বিকেলেই নন্দীগ্রামে আসার কথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও দোলা সেনের। তার আগে কর্মীদের এহেন বিক্ষোভকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় নেতৃত্বরা৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে কার্যত ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।