কলকাতা: দুর্গাপুজো জেলে কাটাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার তা স্পষ্ট করে দিল আদালত। জানান হয়েছে, আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে চলেছেন তিনি। এবার সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি। এতএব, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে এই বছর আর নিজের ক্লাব নাকতলায় থাকা হল না নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-অকল্পনীয় দুর্নীতি! প্রাথমিক টেট মামলায় CBI রিপোর্ট দেখে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিনও তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থার কথা বলে জামিন চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জানান, তাঁর মক্কেলের বয়স ৭০ বছর। অন্তত শরীরের দিকে নজর দিয়ে যাতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এর আগে ইডির মামলায় তাঁকে গৃহবন্দি রাখার সওয়াল করেছিলেন পার্থের আইনজীবী। তবে আগেও যেমন লাভ হয়নি, এবারেও হল না। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতেই পাঠিয়েছে। এদিকে সিবিআই দাবি করেছিল, মামলার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থ। তাঁকে জেল হেফাজতেই পাঠানো হোক। বেশ কিছু জিনিসের তদন্ত বাকি আছে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারক রায় স্থগিত করে দেন। পরে জানা যায় এই নির্দেশের কথা।
বুধবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, পার্থ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তিনি সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন। এমনকী তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল ছিল, তাঁর মক্কেল এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল নন। এমনকী উদাহরণ টেনে তাঁর প্রশ্ন, পথে দুর্ঘটনা হলে যেমন পরিবহণ মন্ত্রীর কোনও দায় থাকে না, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে তার দায় কী ভাবে পার্থর হতে পারে?