কলকাতা: গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই বাড়িতে গিয়ে একদল দুষ্কৃতী হামলা করে অভিজিৎ সরকারের ওপর। ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথম থেকে অভিজিতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিজিতের মৃত্যুর নেপথ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব রয়েছে। অভিজিৎ সরকারের তদন্তভার নেয় সিবিআই। অভিজিৎ সরকারে হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে অনশনে বসলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার ও তাঁর এক বন্ধু। যদিও পু্লিশ তাঁদের দুই জন আটক করেছে।
বিশ্বজিৎ সরকার শনিবার প্ল্যাকার্ড হাতে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বসেন অনশনে। তাতে অভিজিৎ সরকারের হত্যাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। বিচারের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিধায়ক পরেশ পাল ও স্থানীয় কাউন্সিলর রয়েছেন। তাঁদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, যাঁরা এই হত্যার নেপথ্যে রয়েছে, সিবিআই এখনও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। যত দ্রুত সম্ভব সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও বিশ্বজিৎ দাবি জানান। বিশ্বজিতের মূল অভিযোগ পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে।
সিবিআইয়ের তরফে অভিজিৎ সরকার হত্যার তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অভিজিৎ সরকার হত্যার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকদের। অভিজিৎ সরকারের হত্যার মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বার বার বিশ্বজিৎকে কখনও শিয়ালদহ আদালতে তো কখনও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
বিশ্বজিৎ সরকারকে সিবিআই বেশ কয়েকবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কখনও সিবিআই দফতরে বিশ্বজিৎ গিয়েছে। তো কখনও সিবিআই বিশ্বজিৎ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু বিশ্বজিৎ অভিযোগ করেছেন, এতদিনেও সিবিআইয়ের তদন্ত সেভাবে এগোয়নি।