কলকাতা: রাজ্যে সরকারি দফতরে নিয়োগ নেই। যে নিয়োগ আছে তাতেও সীমাহীন দূর্নীতি। এমনই দাবি করছে পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ। এই প্রেক্ষিতেই আরও এক দুর্নীতির অভিযোগ করছে তাঁরা। দাবি, ২০১৭ সালে WBCS (Ex) পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর একটি খবর প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে বাংলাতে ১৬২ ও ইংরেজিতে ১৬৮ পেয়েছে। পরে দেখা যায় সে প্রথম হয়েছে। সেই পরীক্ষার্থীর নাম প্রশান্ত বর্মন। রোল নং ১৭০০৩৫৩।
আরও পড়ুন- বেলা বাড়তেই কালো মেঘে ঢাকবে আকাশ, সোমে ফের কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আজ জেলে। তিনি ছাড়াও আটক আছেন ৫ জন আধিকারিক। কেবল শিক্ষক নিয়োগ নয়, এ রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের। WBCS (Ex) পর্যন্ত ছাড় পায় না। তাঁরা জানাচ্ছে, ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন করেছে তাঁরা। তিনজন চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে এর মধ্যে। প্রথমে ছিলেন দীপঙ্কর দাশগুপ্ত, তারপর দেবাশীষ বসু বর্তমান পিয়ালী সেনগুপ্ত, সকলের কাছেই ডেপুটেশন দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনের চাপে পিএসসিতে পরীক্ষা পর আনসার কী প্রকাশ করা হয়েছে, ফল প্রকাশের পর কাট অফ দিচ্ছে, পরীক্ষার্থীদের ইন্ডিভিজুয়াল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রুত ফল প্রকাশের আন্দোলনেও সাড়া পাওয়া গেছে। কিন্তু মঞ্চের দাবি, প্রশান্ত বর্মনের দুর্নীতির ইস্যুর কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না।
মঞ্চ আরও জানাচ্ছে, আদালতে এই নিয়ে মামলা হয়, কেস নং WPA 7847/2018 ও WP 12087 of 2018। এই কেসের মাধ্যমের ফলে আরটিআই-এ প্রশান্ত বর্মনের প্রলিমিনারির নম্বর দেওয়া হয় এবং জানা যায় সে মাত্র ১৩ পেয়েছিল! এই তথ্য সামনে আসে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই। মঞ্চের অভিযোগ, এরপরও ওই ব্যক্তি বহলতবিয়েতে চাকরি করছেন। তাই পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ সিন্ধান্ত গ্রহন করেছে রাস্তার আন্দোলনের সঙ্গে আদালতেও লড়াই করবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর তারা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়। মঞ্চের পক্ষ থেকে এই মামলার সই করেছেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ।