কলকাতা: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ইডির থেকে আড়াল করতেই কৌশল নিয়েছে সিআইডি এবং জেলা পুলিশ! এই দাবিতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। দাবি করা হয়েছে, দুবরাজপুরের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি সম্ভাবনা। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, এই মামলায় হওয়ায় আরও অস্বস্তি বাড়ল ‘কেষ্ট’র।
আরও পড়ুন: কল্যাণময়ের জামিন মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট
এদিকে শুক্রবারই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। এই মামলার শুনানিতে বিস্ফোরক অভিযোগ করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডল কতটা প্রভাবশালী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর আরও অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে আসার প্রস্তুতির মধ্যেই দু’বছর আগের একটি পুরনো মামলায় তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। গোটা ইস্যুতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশ, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মামলায় রাজ্য সরকারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকির মামলায় রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাও জানাতে হবে আদালতে। এছাড়া, গরু পাচার কাণ্ডে দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনের চেষ্টায় একটি মামলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি কতদূর তাও রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার মামলায় দুবরাজপুরে মামলার কেস ডাইরিও আদালতে নিয়ে আসতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি।