পাখির ডাক নয়, সকালে গুলির আওয়াজ শুনতে হয়: দিলীপ

পাখির ডাক নয়, সকালে গুলির আওয়াজ শুনতে হয়: দিলীপ

 

কলকাতা: ‘‘পাখির ডাক নয়, সকাল বেলা উঠে গুলির আওয়াজ শুনতে হয়৷ গুলি সম্বন্ধে আমাদের প্রতিক্রিয়া দিতে হয়৷ এটাই পশ্চিমবাংলার বাস্তব চিত্র৷’’ দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের৷ সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে ডোমজুড়ে প্রকাশ্যে গুলি প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করে দিলীপের অভিযোগ, ‘‘ আমি বলেছি পুলিশ প্রশাসন সব জানে৷ কোথায় বোম, বন্দুক কার কাছে আছে, অপরাধী কোথায় আছে কিন্তু যেহেতু তারা তৃণমূল পার্টি ছত্রছায়ায় আছে তাই পুলিশের কিছু করার ক্ষমতা নেই।’’

এই প্রসঙ্গেই টেনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশে হামলার প্রসঙ্গ৷ দিলীপ বলেন, ‘‘এগুলো নতুন কিছু নয়৷ আমাদের রাজ্য অফিসে হামলা হয়েছে৷ নেতাদের গাড়িও ভাঙা হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ স্বাভাবিক ঘটনা৷ কিন্তু একজন বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট পর্যায়ের, তার অফিসে সুরক্ষিত নয়৷ পশ্চিমবাংলায় আইন-শৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে যেটা আমরা বারবার বলি, সেটাই তার প্রমাণ।’’

কাকতালীয়ভাবে সিপিএমকেও এদিন একহাত নিয়েছেন দিলীপ৷ রবিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে হারাতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ‘‘সেই জোটটা কোথায় আছে? লোকজন খুঁজছে! অমাবশ্যার চাঁদের মতো গায়েব হয়ে গেছে! এইসব বলে চলবে না। লোক বোকা নয়, অনেক সুযোগ দিয়েছে৷ উনারা সমাজকে কি দিয়েছেন?’’ জিটিএ নির্বাচনে বিরোধিতায় অনশনের হুমকি দিচ্ছেন বিমল গুরুং৷ দিলীপ বলেন, ‘‘বিমল গুরুং এতদিন হারিয়ে গিয়েছিলে৷ এখন একটু তাকে জমি খুঁজে পেতে হবে৷ তার সংগঠন শেষ হয়ে গেছে, ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে৷ এখন দিদির হাত ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন৷ দিদি নির্বাচন ঘোষণা করবেন৷ উনি বিরোধীত করবেন৷ এরকম করে পাহাড়ে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছেন।’’

ধর্মান্তরণ এর জন্য কালিয়াচকের আই সির বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ এই প্রসঙ্গে দিলীপের পর্যবেক্ষণ, ‘‘বহু জায়গায় এরকম চক্রান্ত চলছে এবং বিশেষ সম্প্রদায় থেকে প্রশাসনে বসে থাকা লোকজন এই চক্রান্তের সাথে যুক্ত হয়ে গেছেন৷ আর এটা খুব সিরিয়াস অভিযোগ৷ তদন্ত হওয়া উচিত৷ কোনও বিশেষ ব্যাক্তি সম্বন্ধে হলে অভিযোগ হওয়া উচিত। যারা সেক্যুলারিজমের গান গাইছে তাদের সরকারের থেকে সংখ্যাগুরু সমাজের ওপর আক্রমণ হয় নিঃসন্দেহে তার ওপর একটা প্রতিক্রিয়া হবে৷ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা অহিংসাও বাড়বে৷ এব্যাপারে অবশ্যই সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + seven =