ক্যানিং: করোনা পরিস্থিতিতে টানা ২২ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলল রাজ্যের সমস্ত স্কুল। আর এতেই সমস্যায় পড়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সুন্দরবন। ভেসে গিয়েছে ভিটামাটি । নষ্ট হয়েছে বই খাতা। পঠন-পাঠন কি করে চলবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের কাছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ রায়পুর নরেন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দির। এই স্কুল খোলার পর তাদের করুণ অভিজ্ঞতার কথা জানায় ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, টানা ২২ মাস বন্ধ থাকার পর হঠাৎ স্কুল খোলায় ইউনিফর্ম তাদের আর গায়ে হচ্ছে না। দু’বছরে তা ছোট হয়ে গিয়েছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় যে সমস্ত স্কুলগুলি রয়েছে সেই সমস্ত স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কম । স্কুল খোলার খবর মনে আনন্দ হলেও স্কুলে আসার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার শেষ নেই। পোশাক নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই৷
দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরাও৷ তাঁদের কথায়, স্কুল খুলল, ছেলে মেয়েগুলো আবার পড়াশোনা করতে পারবে৷ কিন্তু আগের পোশাক ছোট হয়ে যাওয়ায় নতুন পোশাক কিনতে হবে৷ এদিকে অর্থাভাব৷ জানি না, কিভাবে সমস্যার সমাধান করব৷ বস্তুত, একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধস্ত সুন্দরবন৷ স্বভাবতই অসহায় পড়ুয়াদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসছেন শিক্ষক মহলের একাংশ৷ তাঁরা জানিয়েছে , ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন ইউনিফর্ম দেওয়া হবে স্কুল থেকে। আপাতত অন্য জামা পরে স্কুলে আসার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা মিটবে এমনটাই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।