কলকাতা: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার আদালতে কেন্দ্রীয় আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- গ্রামে যাননি চার বছর! অভিষেকের নির্দেশে পদ গেল প্রধানের
লালন শেখের সিবিআইয়ের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিআইডি। তাই নতুন করে বিচারপতি দ্বারা তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তারা। তবে এও জানান হয়েছে, হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হলে রাজ্যের কোনও আপত্তি থাকবে না। কিন্তু নতুন করে বিচারপতি নিয়োগ করে তদন্তের প্রয়োজন নেই। যদিও কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, সিআইডি বা রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। কোনও ভাবে আত্মহত্যার ঘটনাকে অন্য কিছু সাজাতে চাইছেন তারা। কারণ যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে তাঁরা অন্য মামলায় তদন্ত করছেন। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই তাঁদের।
কেন্দ্রীয় আইনজীবীর আরও বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মহেশ কুমার মিত্তালের নেতৃত্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে। তাই সিআইডি তদন্তের কোন প্রয়োজন নেই। এই বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না জানিয়েছিল আদালত। সেই মতোই তদন্ত চলছে।