নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘সাধ অনেক, সাধ্যের অভাব’, এই ধারণা মেনে নিয়েই পথ চলা শুরু করেছে একদল। যাদের জীবনের পথ চলার সুর ছন্দ হারিয়েছে, তাদের জীবনেই ফের সুর ভরিয়ে দিতেই কাজ করে চলেছে ‘সুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে পিছিয়ে পড়া কিছু মানুষের সাহায্যে নিজেদের বিলিয়েছে তারা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যখন মানুষের সবথেকে বেশি কাউকে প্রয়োজন ছিল, তখন এই ‘সুর’ বেজে উঠেছে। আর এখনও তাঁরা সেই দিশাতেই হাঁটছে।
আরও পড়ুন- এক ওষুধেই গায়েব ক্যানসার! যুদ্ধজয়ের পথে বিজ্ঞানীরা
সম্প্রতি বেহালার সরশুনায় ‘অমর ছায়া’ ভবনে ‘সুর’ একটি হুইল চেয়ার বিতরণ এবং পিছিয়ে পড়া ছোট ছোট কিছু শিশুদের পঠন-পাঠনের সামগ্রী দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ৫০ জন শিশুকে পঠন-পাঠনের জন্য বই, খাতা এবং সামান্য কিছু শুকনো খাবার যেমন, ম্যাগি, কেক, বিস্কুট দেওয়া হয়।
এছাড়াও ৫৫ বছর বয়সী কার্তিক ঢালি এবং ৬ বছর বয়সী অনিরুদ্ধ নস্করকে হুইল চেয়ার দেওয়া হয় এবং থেলাসেমিয়া আক্রান্ত বছর ১০-এর অন্তরা মান্নাকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে ‘সুর’। একই সঙ্গে মজা করে গান বাজনা করে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করেছে তাঁরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেই সকলের মনোবল আরও বাড়িয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার জয়ন্ত সেন এবং ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নিহার ভক্ত।
‘সুর’-এর একটাই উদ্দেশ্য, কিছু মানুষ যারা দু’মুঠো অন্নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, তাদেরকে অন্তত একবেলা ভর পেট খাওয়ানো অথবা দুর্গা পুজোয় যারা অপারক তাদের নতুন নতুন পোশাক দিয়ে মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা। এই কাজই যে তাঁরা অবিরত করে যাবে তা একদমই স্পষ্ট। মূলত, কলেজ পড়ুয়াদের হাতে তৈরি এই দল।
ছাত্র জীবনেই তারা বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। বিগত তিন বছর ধরে ক্রমাগত দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করে চলেছে ‘সুর’।