শ্বশুর বিধায়ক, পুত্রবধূ কাউন্সিলর! কামারহাটিতে ‘মিত্র’দের জয়জয়কার

শ্বশুর বিধায়ক, পুত্রবধূ কাউন্সিলর! কামারহাটিতে ‘মিত্র’দের জয়জয়কার

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের বহু চর্চিত নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র কামারহাটি। তিনি সেখানের বিধায়ক। তবে পুরভোটের পর মিত্র পরিবারের তরফে কামারহাটিতে একা প্রতিনিধিত্ব করবেন না মদন। তাঁর সঙ্গে চলে এলেন তাঁর পুত্রবধূ মেঘনা মিত্রও। কারণ তিনি এবারের পুরভোটে সেখানে জিতেছেন। অর্থাৎ কামারহাটিতে শ্বশুর হলেন বিধায়ক এবং পুত্রবধূ হলেন কাউন্সিলর। কামারহাটিতে মিত্র পরিবারের জয়জয়কার।

meghna

আরও পড়ুন- আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা! ফুরোবে হাসপাতালের অক্সিজেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে WHO

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কামারহাটি থেকে বড় ব্যবধানে জিতে মদন মিত্র হয়েছিলেন বিধায়ক। আর সম্প্রতি শেষ হওয়া পুরভোটে জিতে মিত্র পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে কামারহাটি এলাকা থেকে জনপ্রতিনিধি হলেন মেঘনা। এবারই প্রথম ভোটে লড়ার টিকিট পান৷ আর প্রথম বারেই জয়ী তিনি। কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন মেঘনা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থীকে ৪ হাজার ৫৭০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মদনের পুত্রবধূ। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর কনিষ্ঠ পুত্র শুভরূপ মিত্রের স্ত্রী মেঘনা কামারহাটিরই মেয়ে। কলেজ জীবন থেকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হীরালাল মজুমদার কলেজে ছাত্র রাজনীতি করতেন তিনি৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে ২০১১ সালে প্রথম ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে কলেজের কালচারাল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন মদনের পুত্রবধূ।

এবারের পুরভোটে অন্যতম তারকা প্রার্থীদের মধ্যে একজন ছিলেন মেঘনা মিত্র। তার কারণ অবশ্যই মদন মিত্রের নাম, তিনি তাঁর পরিবারের সদস্য। কিন্তু তাঁকে কেন প্রার্থী করা হয়েছিল সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। কারণ, এবার তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল যে, কোনও বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়নি। একই পরিবারে কোনও সদস্যকে প্রার্থী করা হবে না। কিন্তু কামারহাটিতে ঠিক সেটাই হয়েছে। বিধায়ক মদন মিত্রকে প্রার্থী করা হয়নি ঠিকই, তবে তাঁর পুত্রবধূকে করা হয়েছে। মদনের কনিষ্ঠ পুত্র শুভরূপও দলের সঙ্গে যুক্ত।

megh

তবে সেসব এখন অতীত। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে মদন মিত্রের পুত্রবধূ মেঘনা। আর জয় পেয়েছেনও বড় ব্যবধানে। তাই তাঁকে পুরসভায় কোনও বড় পদ দেওয়া হয় কিনা এখন সেটা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের নিয়েও কাজ করার উদ্যোগ দেখিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই যদি মেঘনা মিত্র পদ পান তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাঁর সঙ্গে আবার মদন মিত্রের ‘ক্যারিশ্মা’ও তো রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =