কলকাতা: শহিদ মঞ্চ থেকে এদিন চাকরি নিয়ে বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, রাজ্যজুড়ে অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ চলছে৷ ডেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি— বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আগামী ১০০ বছর রাজ্যের কয়লা নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিনি জানান, শিক্ষকতার চাকরিতে ১৭ হাজার পোস্ট খালি রয়েছে৷ কোর্টে কেস চলছে বলে সেখানে নিয়েগ করা যাচ্ছে না৷ সেই সঙ্গে ২১-এর শহিদ মঞ্চ থেকে চাকরি নিয়ে বাম-বিজেপি’কে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়৷
এদিন খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই চাকরি হোক৷ বিজেপি চায় চাকরি যাক৷ তাই ওদের কুটুস কুটিস করে পিঁপড়ে কামড় দিচ্ছে৷ কামড় দিয়ে বলছে, এখানে এই লেখাটা ভুল, ওখানে ওটা ভুল৷ কিন্তু, তোমরা কী করেছ? পাল্টা প্রশ্ন মমতার৷ তিনি বলেন, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড থেকে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কোল ইন্ডিয়া, ডিফেন্স, সিভিল অ্যাভিয়েশন সবকিছুই তো গুলে খেয়েছে৷ আর ওরা বলছে, বাংলার লোককে চাকরি দেওয়া যাবে না৷ আলবাদ দেব৷ ক্ষমতা থাকলে তোমরা রুখে দেখাও৷
মমতা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, তোমরা একদিক বন্ধ করলে অন্য দিকে চালু করব৷ আমি জানি কী ভাবে রাস্তা বার করতে হয়৷ গদ্দারদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে হবে, গদ্দারবাবুরা চাকরি পাবে আর সাধারণ ছেলে মেয়েরা পাবে না, সেটা চলবে না৷ যে যে চাকরি পাবে নিজের কৃতিত্বে পাবে৷ কোনও ভুলভ্রান্তি হলে তা শুধরে নেওয়া হবে৷ কেউ ইচ্ছে করে ভুল করলে তাঁর শাস্তিও সে পাবে৷ এরপর সিপিএম-কে বিঁধে তিনি বলেন, আমরা জানি বাম জমানায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ চাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছিল৷ সিপিএমের মুখপত্রে যত রিপোর্টার কাজ করেন, তাঁদের সকলের স্ত্রী শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিল, তাঁরা কি যোগ্যতায় সেই চাকরি পেয়েছিল? ছেলেরা পার্টি করবে আর বউরা চাকরি করবে, এই নিয়মে চাকরি দিয়েছিল সিপিএম ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>