কলকাতা: মাছ-মাংস-সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোনও পণ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বেড়েছে বিগত কিছু দিনে। বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এদিনই বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রকে যেমন একহাত নিয়েছেন তেমন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কী করা যায় তার একটা আভাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- গবেষক ছাত্রের আত্মহত্যা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে সন্দেহ
এদিন মমতা জানান, মানুষকে স্বস্তি দিতে গোটা বাংলা জুড়ে ৩৩২ টি ‘সুফল বাংলা’ দোকান খোলা হয়েছে। এতে আলূ সহ অনেক সবজি বাজার থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে। যদিও এই দোকানের সংখ্যা ৫০০ টি করার কথা বলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়াতে হবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল ইডি, সিবিআই দিয়ে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করা। তারা বাকি সব কিছু করছে কিন্তু বাজারে গিয়ে নজরদারি করছে না। এদিকে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে, কিন্তু বাজারে যাচ্ছে না তারা কেউ। বাজারে অনেকেই সবজি আলাদা মজুত করে রাখতে পারে মুনাফার জন্য। সেগুলির জন্য মানুষের অসুবিধে হয়। কিন্তু সেই নিয়ে কিছু করছে না কেন্দ্র।
জ্বালানির লাগাতার দাম বৃদ্ধির কারণে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদাসীনতাকে দায়ি করেছে এই অবস্থার জন্য। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আজ নবান্নে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতার কথায়, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন জেতার পর যেখানে জ্বালানির দাম কমানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের, সেখানে দাম বৃদ্ধি করা হল। এটা নির্বাচনে জিতে মানুষকে ‘রিটার্ন গিফট’ দিয়েছে সরকার। এভাবেই কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারটা পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে। কিন্তু তারা কিছুই না করে ১৫ দিনে ১৬ বার জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস তো বটেই, জীবনদায়ী কিছু ওষুধের দামও তারা বাড়িয়ে দিতে পিছপা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″ height=”315″ frameborder=”0″>