বিশ্বজিৎকে বিধায়ক পদ ছাড়তে পরামর্শ! কী চাইছেন মমতা

বিশ্বজিৎকে বিধায়ক পদ ছাড়তে পরামর্শ! কী চাইছেন মমতা

কলকাতা: মুকুল রায় কোন দলে রয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে ‘যোগ’ দিলেও এখন তাঁর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে তিনি বিজেপিতে আছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়েও জল্পনা চলছে বটে। তবে এবার তাঁকে বড় পরামর্শ দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ। সেখানে তাঁকে পদত্যাগের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ‘দিদি আমাদের বাঁচান’, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন বঞ্চিত হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে বিশ্বজিৎকে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, উপনির্বাচনে তাঁকে আবারও বাগদা আসনে প্রার্থী করা হবে। মানুষের সমর্থন পেতেও তাঁর অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। যদিও বিশ্বজিৎ পরে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তাঁকে পদত্যাগ করার কোনও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। বরং বিধানসভার অধিবেশন হয়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিশ্বজিৎ। তবে ২১-এর বিধানসভার পর চিত্রটা বদলেই গিয়েছিল। আসলে নির্বাচনের আগে বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসেন বিশ্বজিৎ। তখন থেকেই জল্পনা ছিল তিনি আবার তৃণমূলে ফিরবেন।

কিছুদিন আগে অবশ্য মধ্যমগ্রামে জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এসে ‘বৈঠক’ করার পর বিশ্বজিৎ জানিয়েছিলেন, তিনি বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন, এখনও বিজেপিতেই আছেন। এমনকি গত নির্বাচনে বিজেপি খারাপ ফল নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলেই ভরাডুবি হচ্ছে দল। এটা না হলে নির্বাচনগুলিতে আরও ভাল ফল করতেই পারত বিজেপি শিবির। পাশাপাশি নাম না করে বিজেপি বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শান্তনু ঠাকুরকেও একহাত নেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − eight =