ইভিএম কারচুপিতে জিতেছে! বাংলায় হেরেও লজ্জা নেই বিজেপির, প্রতিক্রিয়া মমতার

ইভিএম কারচুপিতে জিতেছে! বাংলায় হেরেও লজ্জা নেই বিজেপির, প্রতিক্রিয়া মমতার

কলকাতা: গতকাল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। তিন রাজ্যে বিপুল ভোটে জিতেছে বিজেপি এবং একটি রাজ্যে (গোয়া) ত্রিশঙ্কু অবস্থা। তবে সেটাও যে বিজেপির দখলে যেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যাপক আশাবাদী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে। খোদ নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন যে, এই ভোটের ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে যে আগামী লোকসভাতেও বিজেপি আসছে। তবে এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন যে, উত্তরপ্রদেশে ইভিএম কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- ‘যুদ্ধ শেষ করতে উন্মুখ রাশিয়া’, দাবি মস্কোর

রাজ্য বাজেট নিয়ে বক্তব্য বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই নির্বাচন এবং তার ফলাফল প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বাংলাতে গো-হারা হেরেছে বিজেপি তাতেও তাদের লজ্জা নেই। এদিকে কয়েকটি রাজ্যে জিতে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট নিয়ে এত লাফালাফি করছে তারা। সম্পূর্ণ ইভিএম কারচুপি করে নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাই তাঁর কটাক্ষ, এই ভোট নিয়ে বিজেপির উত্তেজিত হওয়া অনেকটা  জন্মের আগে অন্নপ্রাশনের দিন ঘোষণা করা বা মৃত্যুর আগে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেওয়ার মতো। এখনও অনেক সময় আছে লোকসভা ভোটের। তার আগে অনেক কিছুই হতে পারে বলে জানিয়েছেন মমতা। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের জন্য ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অখিলেশ জিতলেও দল হেরে গিয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে মমতার দাবি, জোর করে হারানো হয়েছে অখিলেশকে। ইভিএম কারচুপি করা হয়েছে।

আসলে এই বিপুল জয় পাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট দাবি করেছেন যে, বিজেপির প্রতি মানুষের অপার বিশ্বাসের জয় হয়েছে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এই জয়ে আর কী আছে? ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফল ঠিক করে দিল ২০২৪ সালে ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। সেই নিয়ে তাঁকে আবার কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের লড়াই হবে ২০২৪ সালে এবং সেটা কোনও রাজ্যের ভোট নয়। সাহেব এটা খুব ভাল করেই জানেন তাই চালাকি করে বিরোধীদের ওপর প্রধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন এই ভোটের ফল নিয়ে মাতামাতি করে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *