কলকাতা: গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। অভিযোগ, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নিয়ে মুখ আগেও খুলেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করে বলেছিলেন, মামলা ইন্টারন্যাশেনাল আদালতে হওয়া উচিত। এদিন নবান্ন থেকে আবার এই বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
আরও পড়ুন- এক মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসা, বললেন অর্পিতাকে চিনি না, ওড়ালেন অভিযোগ
মমতা আগেই জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। সবাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গিয়েছে। শুধু উৎসবের সম্পর্ক আছে। কালীপুজো, ভাইফোঁটা, রাখি এই সময়গুলিতে একসঙ্গে আসে, বাকি সময়ে কারোর সঙ্গে কারোর সম্পর্ক নেই। আজ নবান্ন থেকে বললেন, পরিবারের কে কোথায় আছেন তা তিনি জানেন না। এমন কোনও তথ্য যদি পাওয়া যায় জবরদখলের তাহলে বুলডোজার দিয়ে উড়িয়ে দিন, এমনই মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি মমতা এও জানান, তিনি মুখ্যসচিবকে বলেছেন, মন্ত্রিসভাকে বলেছেন ভূমিরাজস্ব সচিব তদন্ত করে দেখুক বিষয়টি। যদি এমন কোনও তথ্য থাকে জমি দখল করার বা কাউকে পাইয়ে দেওয়ার তাহলে সেটা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিন। মমতা এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি যে এলাকায় থাকেন সেটা রানী রাসমণির জায়গা। তাঁরা ঠিকা প্রজা। নিজেদের কোনও জমি নেই।
এদিন মমতা আরও বলেন, কয়লা, গরু এগুলো সব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে আছে। বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে সব আসছে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে সব টাকা নাকি কালীঘাটে আসছে। তাহলে কি মা কালীর কাছে আসছে? কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন করেন মমতা। পাশাপাশি এও বলেন, কুৎসার রাজনীতি করা হচ্ছে। এরকম নোংরা রাজনীতি দেখলে তিনি আগেই ছেড়ে দিতেন। কিন্তু এখন তিনি যেহেতু চলে এসেছেন রাজনীতিতে, মানুষের হয়ে কাজ তাঁকে করতে হচ্ছে।