ভাইরাল অডিওতে ফিরহাদ, সায়নীর নাম! আলিয়া কাণ্ডে মুখ খুললেন মমতা

ভাইরাল অডিওতে ফিরহাদ, সায়নীর নাম! আলিয়া কাণ্ডে মুখ খুললেন মমতা

কলকাতা: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রাক্তন সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলের তাণ্ডবের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অন্যদিকে আবার এই ইস্যুতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সায়নী ঘোষের। সব মিলিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এই আবহেই এই ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বললেন তিনি?

আরও পড়ুন- উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গ্রেফতার

আলিয়া কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গে টেনে আনলেন তিনি। সরাসরি নিশানা করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। মমতার প্রশ্ন, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কেন গ্রেফতার করা হল না? তিনি বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হচ্ছে সেটা সবাই দখুক। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু আলিয়া কাণ্ডে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ পুলিশের মতো কাজ করছে। এমনটাই জানান মমতা। উল্লেখ্য, আলিয়ার ঘটনায় ধৃত ছাত্র নেতাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। সোমবার অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছিল। অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, অভিযুক্তকে আগেই তাদের শাখা সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

এদিকে আবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, গোলাম রব্বানি, নেত্রী সায়নী। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থা-কাণ্ডে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কয়েকটি কন্ঠস্বর শোনা গিয়েছে যারা মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করেছে। এছাড়াও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও দুই মন্ত্রীই এই বিষয়ে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিতর্ক যে এখানে থেমে আছে তা নয়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে চাইছেন ওই উপাচার্য। তবে অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী থেকেও প্রত্যাখ্যান! ১৪ ঘণ্টা ধরে ঘুরেও মিলল না চিকিৎসা, পথেই মৃত্যু বৃদ্ধের

এদিন একটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়ার উপাচার্য বলেন, ‘‘আমার উপর মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে, হেনস্থা করা হয়েছে, একজন শিক্ষক হিসাবে আমি ভীষণভাবে লজ্জিত৷ একইসঙ্গে আতঙ্কিত৷’’ পাশাপাশি এত অপমানের পর আর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে থাকতে চান না তিনি৷ ফিরতে চান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ নিজের সেই ইচ্ছার কথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানিয়েছেন বলেও দাবি আলিয়ার উপাচার্যের। এমনকি এই ঘটনার কথা মুখ্যমন্ত্রী এবং আচার্য রাজ্যপালকে জানাবেন বলেও জানান মহম্মদ আলি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *