‘আমরা কখনও চাই রক্ত ঝরুক?’ রামপুরহাটকাণ্ডে প্রশ্ন মমতার

‘আমরা কখনও চাই রক্ত ঝরুক?’ রামপুরহাটকাণ্ডে প্রশ্ন মমতার

কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আজ বিধাবা ভাতা প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে রামপুরহাট প্রসঙ্গ। সেই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, তারা তো ক্ষমতায় আছেন, তারা কি কখনও চাইবেন রক্ত ঝরুক, কেউ খুন হোক? সরকার তাদের, তারা কি কখনও চাইবেন কেউ কোথাও বোমা মারুক? মমতার কথায়, এটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি

রামপুরহাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে যা ঘটনা ঘটেছে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা কেউ ছাড় পাবে না। তিনি জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ বার তিনি ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন রামপুরহাটের। সঙ্গে সঙ্গে সিট গঠন হয়েছে। মমতা এও জানান যে, তিনি আজই সেখানে যেতেন। কিন্তু অন্যান্য দলের লোক সেখানে গিয়েছে তাই তিনি আজ সেখানে যাবেন না, কারণ তিনি ঝগড়া করতে চান না। তাঁর কথায়, ”ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে সেখানে গিয়েছে তারা।” বিরোধীদের খোঁচা মেরে তিনি বলেন, লখিমপুর নিয়ে কিছু হয় না, হাথরস, দিল্লি, উন্নাও নিয়ে কিছু হয় না। আর এখানে কাশলেও কোর্টে চলে যায়, হাঁচলেও কোর্টে চলে যায়। অন্য রাজ্য কিছু ঘটলে সেখানে কাউকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না। কিন্তু এখানে সবাই ঢুকতে পারে। এটাই রাজ্যের সরকারের সহমর্মিতা, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিকে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাপের পারদ ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি যে আরও বেগতিক হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২০ জন গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও চরম অসন্তোষ রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। বিজেপি আগেই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল। এবার গিয়েছে কংগ্রেস। রামপুরহাট কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + twenty =