I-PAC প্রসঙ্গ তুলতেই মমতা সাংবাদিককে বললেন, ‘প্রশ্ন করবেন না’

I-PAC প্রসঙ্গ তুলতেই মমতা সাংবাদিককে বললেন, ‘প্রশ্ন করবেন না’

কলকাতা: বিরাট বড় জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এই বিষয়ে তদারকি করছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এই নিয়ে কয়েক দফা কথাও হয়েছে মমতার বলে খবর। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে এই ইস্যুতে কোনও রা কাটলেন না তিনি। বরং এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বলে দিলেন প্রশ্ন না করতে। তাহলে কি জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে? আরও বাড়ল এই নিয়ে কৌতুহল।

আরও পড়ুন- শেষের পথে শীতের ঝোড়ো ইনিংস, বাংলার আকাশে ফের আশঙ্কার মেঘ, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে আসেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ লোকসভা ভোটে বিজেপি’র কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট ছিল তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় আসেন পিকে৷  একুশের নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট কৌশল তৈরি, একাধিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে ততই আইপ্যাক নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। তাই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অনুমান। তবে আজ যখন লখনউ যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা, তখন তাঁকে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে তিনি সপাট জবাব দিয়ে বলেন, এই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন করবেন না। এটা দলের আভ্যন্তরিণ বিষয়। এই নিয়ে তিনি এখন কোনও উত্তর দেবেন না। দলীয় কোনও ইস্যুতে আলোচনা হলে তখন বলবেন।

আসলে বিধানসভা ভোটের পর পিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আইপ্যাক ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন৷ কিন্তু তৃণমূলে তাঁর ছায়া ছিল বেশ দীর্ঘ৷ এমনকী বিভিন্ন সরকারি দফতরের পরামর্শদাতা হিসাবেও দেখা গিয়েছে আইপ্যাকের উপস্থিতি৷ যা নিয়ে মন্ত্রীমহলে ক্ষোভও রয়েছে৷ তবে দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আইপ্যাকের অতিসক্রিয়তা যে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও অনুমোদন করছেন না, তার প্রমাণ মিলল কলকাতা ও বিধাননগর-সহ কয়েকটি পুরসভা ও পুরনিগমে ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। আইপ্যাকের কর্মীদের অনুযোগ, পুর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁদের সুপারিশ মানা হয়নি৷ অন্যদিকে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, বাংলাকে চেনার জন্য কারও পরামর্শের প্রয়োজন নেই৷ এখান থেকেই স্পষ্ট যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =