জোড়া খুনের ঘটনায় থমথমে মগরাহাট

জোড়া খুনের ঘটনায় থমথমে মগরাহাট

 

মগরাহাট: জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে মগরাহাটে থমথমে পরিস্থিতি। রবিবার সকালে মগরাহাটের মাগুর পুকুর এলাকার আমড়াতলায় সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মখালের বাড়ি সহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। জোড়া খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ছজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত জানে আলাম মোল্লা এখনো পর্যন্ত অধরা।

মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অনড় এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত জানে আলাম মোল্লাকে গ্রেফতার না করা গেলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন৷ ফের যাতে কোনও রক্তপাত বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই জানে আলমের কারখানার সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। কারখানার মধ্যে তদন্তকারী অফিসাররা তদন্ত চালাচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার এর পাশাপাশি কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার আবেদন করছে পরিবারের লোকজনের।

বস্তুত, মগরাহাটের ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে বাংলার আইন শৃঙ্খলা৷ মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাট বসে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানেই টাকা পয়সা ভাগ সংক্রান্ত বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। অশান্তির পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে ছুটে যায় সিভিক ভলান্টিয়ারসরা। কিন্তু উল্টে এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এক বন্ধুকে এক দোকানে ঢুকিয়ে দেয় কিছু দুষ্কৃতী। সেখানেই প্রথমে গুলি চালিয়ে এবং তার পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। কাজ শেষ করার পরেই চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। খুনের পদ্ধতি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। একই সঙ্গে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। সকলেই সরব দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায়৷ যারে জেরে পুরো ঘটনায় সামনে আসছে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার বিষয়টিও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *