কলকাতা: একবার নয়, বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। কিছু মন্তব্যের জন্য দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি মদন মিত্রকে শোকজ পর্যন্ত করেছিল কিছুদিন আগেই। কিন্তু নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা সহজে ত্যাগ করতে রাজি নন তিনি। এবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। বললেন, প্রভাবশালী নেতাদের নিয়ে কিছু বললে তাঁকে না খেতে পেয়ে মরতে হবে। ঠিক কাদের কথা বললেন বিধায়ক?
আরও পড়ুন- ‘ধর্ষণ করেছে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে, ছেলে ফেঁসে গিয়েছে’ হাঁসখালি কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক অডিয়ো
আসলে এসএসসি ইস্যুতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধায়ের। তাঁকে নিয়ে আদালত গ্রেফতারির নির্দেশ পর্যন্ত দিয়েছিল সিবিআইকে। এদিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নাম করে বলেছিলেন, ব্রাত্য বসুর জমানায় কিছু হয়নি, দুর্নীতির যে অভিযোগ তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ের। কিন্তু বলতে পারলে তিনি বলতে পারবেন। এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল শুরু হয়। আজ এই ইস্যু নিয়েই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন মদন। তাঁর কথা, তিনি চুনোপুঁটি বিধায়ক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ এঁদের নিয়ে কথা বললে তাঁকে না খেতে পেয়ে মরতে হবে! মদন বলছেন, তিনি মুখ নন, পাত্রও নন, তাই কে কী বলছে সেই ব্যাপারে কিছুই মন্তব্য করবেন না। তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর চেয়েছেন দুর্নীতি মুক্ত রাজ্য।
মঙ্গলবার এসএসসি গ্রুপ ডি এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হলে পার্থ-র হাজিরার নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতিরা। বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয় এবং বেঞ্চ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার মেয়াদ আরও চার সপ্তাহ বাড়ানোর নির্দেশ দেয়।