রামপুরহাট: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলেছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। কিন্তু এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সিটের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, প্রমাণ নষ্ট করতে পারে সিট! এদিন সকালে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছে এমন দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি
সেলিমের বক্তব্য, কেউ যাতে আগে থেকে প্রমাণ নষ্ট করতে না পারে তাই জন্য সিটকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা এসেই প্রমাণ নষ্ট করবে। প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে বলেও আক্রমন শানান তিনি। এই ইস্যুতে তিনি যে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন তা বলাই বাহুল্য। সিপিএম নেতার আরও বক্তব্য, বাড়ি গুলিতে যখন আগুন ধরানো হয় তখন বাইরে পুলিশ পাহারায় ছিল। তাদের সামনেই সবকিছু হয়েছে। এদিকে যে নব দম্পতি ‘খুন হয়েছে’ বলে দাবি সেই প্রসঙ্গে সেলিমের বক্তব্য, নানুর পুলিশ স্টেশন কাজির বাবার অভিযোগ নেয়নি। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানানো হচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর।
বীরভূমেরই নানুরের বাসিন্দা কাজি সাজিদুল রহমান। তিনি তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বিবিকে বগটুই থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি কাজির বাবার। তাঁর কথায়, রামপুরহাট-কাণ্ডে নিহতদের মধ্যে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ রয়েছেন। তাদের ঘরে আগুন লাগানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, যেদিন রাতে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে সেদিন এক বন্ধুকে ফোনও করেছিলেন কাজি। তাদের ‘বাঁচাতে’ বলে পুলিশ ডাকতে বলেছিলেন। সেটাই ওই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর শেষ কথা। এর পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না দু’জনের।