কলকাতা: গোপন জায়গায় বৈঠকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ আর এই বৈঠককে কেন্দ্র করেই বিজেপি’র অন্তর্দ্বন্দ্ব নয়া মোড় নিল৷ এতদিন মূলত শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছিল বিক্ষুব্ধদের আন্দোলন৷ তবে ধীরে ধীরে তা স্তিমিত হয়ে আসে৷ এবার রাজ্য বিজেপি’র অন্দরে উঠে এল অন্য সমীকরণ৷ আজ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপি’র বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত নেতারা৷
আরও পড়ুন- বন্দুকের নিশানায় দুই বিএসএফ জওয়ান, গুলিতে ঝাঁঝরা, মৃত্যু
টানা ছয় মাস উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারের পর দিন দু’য়েক আগেই কলকাতায় ফেরেন বিজেপি সাংসদ৷ ফিরেই রাজ্য বিজেপি’র চিন্তন বৈঠকে একপ্রকার বিস্ফোরণ ঘটান তিনি৷ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান লকেট৷ প্রকাশ্যেই রাজ্য নেতত্বের বিরুদ্ধাচারণের পর আজ কলকাতায় কোনও এক গোপন স্থানে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে গোপন বৈঠকে বসলেন তিনি৷ এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হল, যাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারছেন না, আগামী দিনে পথ চলার ক্ষেত্রে তাঁদের রণনীতি কী হবে, তা ঠিক করে নেওয়া৷
এদিকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের দুই সাসপেন্ডেড নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি৷ উপস্থিত রয়েছে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীকরণ পাল ও সায়ন্তন বসু৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, সায়ন্তন বসু কিন্তু প্রকাশ্যে বিক্ষুব্ধ বা বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে বা বিপক্ষে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি৷ তবে শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে তাঁর তৎপরতা কারও নজর এড়ায়নি৷ এমনকী পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে শান্তনু ঠাকুরের ডাকা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তিনি৷
তবে এই বৈঠকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ কারণ, নতুন কমিটিতে সহ সভাপতি হিসাবে জায়গা দেওয়া হয়েছে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ কিন্তু তিনি যে বর্তমান নেতৃত্বের কাজ করতে বিশেষ স্বচ্ছন্দ নন বা খুশি নন, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ এতদিন প্রকাশ্যে বিক্ষুব্ধদের ভিড়ে সামিল না হলেও, আজ সরাসরি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকে সামিল হয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিলেন তিনি৷ এই ঘটনা রাজ্য বিজেপি’র অন্দরের ফাটলকে আরও স্পষ্ট করে তুলল৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>