কলকাতা: রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন এবং তারপর যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এখন রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে সরব সকল বিরোধী দল। আদালত পর্যন্ত গিয়েছে বিজেপি, বিধানসভা ওয়াকআউট করা হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। কিন্তু শাসক দল এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে তৃণমূলের ভাদু শেখকে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় রাজ্যপাল অনভিপ্রেত টুইট করে পরিস্থিতি আরও জটিল করছেন।
আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, পর পর বাড়িতে আগুন, ১০ জনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কূণাল আজ জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং এই ঘটনা সেটার অংশ। ভাদু শেখ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় ক্ষোভ ছিল। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে আসছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার জন্য, তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যকে নিশানা করেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। প্রথমে খুন এবং তারপর যা ঘটেছে সেটা তারই অংশ। তিনি আশা করছেন, পুলিশ যথাযথ ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে। এর আগে কুণাল টুইট করে লিখেছিলেন, ”রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু। দুঃখের। অবাঞ্ছিত। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ। এর আগের দিন তৃণমূল উপপ্রধানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।”
রামপুরহাটের ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তদন্তকারী দলে রয়েছেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং, এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং এবং জিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ব্যাখ্যা দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। জানান, গতকাল খুনের ঘটনার পরেই নেতার গ্রামে ৭-৮ টি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। রাতের মধ্যেই সেখানে পুলিশ, দমকল সব পৌঁছে গিয়েছিল। আজ সকালের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর একটি বাড়িতে ঢুকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।