কলকাতা: প্রতারণার মাধ্যমে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কোনও মতেই ছেড়ে দেবেন না তিনি! কার্যত এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তারা নিজে থেকেই ইস্তফা দেন ভাল, আদালত কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তা না করেন কেউ তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এমনকি, ভবিষ্যতে তাঁরা যাতে কোনও সরকারি চাকরি করতে না পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে বক্তব্য তাঁর।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাড়িয়েছে! দাবি ইডির, পার্থর জামিনের বিরোধিতা
বিচারপতির স্পষ্ট কথা, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তারা নিজেরাই জানেন। হয়তো তারা চাকরি কিনেছেন বা অন্য কোনও মাধ্যমে পেয়েছেন। তারা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। ইস্তফা দিলে সেই পদ শূন্য বলে ধরা হবে। যদি তারা ইস্তফা না দেন তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হবে। আসলে বুধবার আদালতে সিবিআই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করেছিল। তা দেখেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রিপোর্টে উল্লেখ আছে, খালি খাতা জমা দিয়েও নম্বর পেয়েছে অনেকে। তা মাত্র কয়েক নম্বর নয়, ৫০, ৫৩ নম্বর। তাদের কেউ কেউ ০ বা ১ নম্বর পেয়েছিলেন আদতে। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সার্ভারে ৯০৭ জন প্রার্থীর নম্বর বদলানো হয়েছে এবং নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৯৫২ জনের নম্বর বদলানো হয়েছে। অন্যদিকে গ্রুপ সি-তে ৩ হাজার ৪৮১ জনের এবং গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই এইসব তথ্য তারা জানতে পেরেছে।