Aajbikel

তৃণমূলের লোগো প্রত্যাহার করতে বলবেন, হুঁশিয়ারি বিচারপতির! পরোক্ষে 'রসগোল্লা' খোঁচা কুণালের

 | 
কুণাল

কলকাতা: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। তাঁর দাবি, নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে! তাঁর দাবি, অযোগ্যদের যাতে চাকরি না যায় সেই মর্মে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই মন্তব্য শোনার পর রাজ্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তিনি এমন পদক্ষেপ করবেন যা নজিরবিহীন হয়ে যাবে। যা গোটা দেশে কখনও হয়নি।

আরও পড়ুন: শূন্যপদ তৈরির নির্দেশ ব্রাত্য বসুর! আদালতে বিস্ফোরক শিক্ষাসচিব

রাজ্যের ওপর শুধু নয়, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়েও এদিন বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন! দল হিসেবে তাদের মান্যতা যাতে প্রত্যাহার করা হয় সেটা দেখবেন! তাঁর কথায়, সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না। নিয়োগ ইস্যুতে শিক্ষাসচিবের দাবি শুনে তিনি যে কার্যত স্তম্ভিত হয়েছেন তা বলাই যায়। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির আরও বক্তব্য, কিছু দালাল, যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। নিয়োগ হলেই নাকি স্থগিতাদেশ দিচ্ছে আদালত। স্থগিতাদেশ কি এগরোলের মতো বিক্রি করা হয়, প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও তিনি কোনও নাম নেননি৷ এদিন কুণাল জানান, দলের অনেক মুখপাত্র আছে। কিন্তু যিনি মুখপাত্র নিয়ে বলছেন তাঁর নাম নিয়ে বলা উচিত যে কাকে বলছেন। কুণালের কথায়, তিনিও নাম নিচ্ছেন না, কিন্তু তাঁর এটাই মনে হচ্ছে যে কেউ আছেন যিনি 'অরণ্যদেব' হওয়ার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, নাম না নিলেও তিনি ধরে নিচ্ছেন, যে তাদের নামে বলছেন তিনি 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলি।'

আরও পড়ুন- শূন্যের দিকেই এগোচ্ছে বঙ্গের কোভিড গ্রাফ, আরও তলানিতে সংক্রমণ

এরপরেই কুণাল স্পষ্টভাবে দল তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, গোটা আইন ব্যবস্থার প্রতি তাদের সম্মান আছে। দলের সম্মান আছে, তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও সম্মান করেন। সব বিচারপতিরাই ন্যায়ের জন্য লড়ছেন, কাজ করছেন, প্রতিদিন। কিন্তু কেউ কেউ বোঝানোর চেষ্টায় আছেন যে, হঠাৎ তিনি এসে ন্যায় বিচার দিচ্ছেন। আইন ব্যবস্থায় অনেক বিচারক আছেন যারা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে এই একই কাজ করছেন। কিন্তু কেউ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মনে করছেন, নিজের ইচ্ছাপূরণের জন্য কোনও কাজ পর্যবেক্ষণের মোড়কে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে নিজেকে 'অরণ্যদেব' সাজাবেন। এই প্রেক্ষিতেই কুণালের মন্তব্য, ''বিচারকের চেয়ারের সুরক্ষা নিয়ে কেউ যদি বলেন আমার দলকে তুলে দেবেন, তাহলে মুখপাত্র হিসেবে আমি তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? যান অরণ্যদেব গাঙ্গুলি, আপনার যা ক্ষমতা আছে করে নিন।''  

Around The Web

Trending News

You May like