কলকাতা: টেট পরীক্ষার্থীদের ব্রেক আপ সহ কে কত নম্বর পেয়েছে সেই তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতে চার ব্যাগ মেধাতালিকা পাঠিয়েওছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই চার ব্যাগই আবার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, টেটের মেধাতালিকা চাননি তিনি। ব্রেক আপ সহ কে কত নম্বর পেয়েছে তাই জানতে চেয়েছেন, তাই ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- জহর সরকারের নির্বাচনী এজেন্ট হয়ে লজ্জিত তাপস, করলেন ক্ষোভপ্রকাশ
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কাট অফ মার্কস এবং সংরক্ষণ তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁকে মেধাতালিকা জমা দিয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মেধাতালিকা তিনি চাননি, তাই সেটি তিনি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদিও নির্দেশ, এই নথিগুলি নষ্ট করতে পারবে না পর্ষদ। সবকিছু সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হওয়া টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। তবে পরীক্ষায় আসা ভুল প্রশ্নের জন্য ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। ওই বছর টেট পরীক্ষায় দু’দফায় নিয়োগ হয়। অভিযোগ, বাড়তি নম্বর দিয়ে দ্বিতীয় দফার যে নিয়োগ তাতেই বেনিয়ম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের বিষয়টি সামনে আসে ২০১৮ সালে। সেই সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্ট হয়ে হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। এদিকে আজই টেট পাস না করেও দশ জনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যে মামলা হয়েছে সেই মামলায় সিবিআইকে বড় নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই দশ জনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে তাদের এবং রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।