তুফানগঞ্জ: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই মামলায় অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। শনিবার তুফানগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় কোনও এক দিন নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জন বারলা সহ মোট চারজনের নাম ছিল তবে বাকি তিনজন আগেই মুক্তি পেয়েছেন। এবার আত্মসমর্পণ করলেন তিনিও।
আরও পড়ুন- রাজভবনে নমোর ‘ম্যান অফ আইডিয়াজ’, চিনে নিন বাংলার নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে
গত ১৫ নভেম্বর তুফানগঞ্জ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তখন শুনানিতে হাজির ছিলেন না আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে শনিবার কিছু সমর্থক ও জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে তুফানগঞ্জ আদালতে হাজির হন জন বারলা। আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে একদিন নিয়ম ভেঙে মোটরবাইক ও গাড়ি নিয়ে র্যালি করেছিলেন তিনি বলেই দাবি। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার এলাকায় দুজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাম জড়ায়। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় সেই সময়ে। তিনি পরে আদালতে হাজিরা দেন। এখন ফের ওই একই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত।