কলকাতা: গতকাল নেতাজি ইন্ডোরে যে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে নানা প্রশ্ন করে কার্যত ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশের মেরুদণ্ডে আঘাত করা হয়েছে। বিজেপি প্রায় প্রত্যেক ইস্যুতেই রাজ্যপালকে সমর্থন করে এসেছে। এই ইস্যুতেও তারা তাঁর পাশেই। কিন্তু কার্যত অপ্রত্যাশিতভাবে সদ্য বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যপালকে চরম আক্রমণ করলেন। সঙ্গে পরামর্শ দিলেন, তাঁর আচরণ রাজপুরুষোচিত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় সেক্সটরশনের ফাঁদ! ভুল পদক্ষেপ করলেই সমূহ বিপদ
এদিন রাজ্যপাল যে ভিডিও টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সেটাকেই রিটুইট করে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার লেখেন, ”আপনার সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই সংঘাতে কি সকলের প্রিয় পশ্চিমবঙ্গ উপকৃত হচ্ছে? টুইটার ও মিডিয়াকে ব্যবহার করে কি এই দ্বন্দ্ব মেটানো যায়? আপনার অবস্থান কি আসলে শাসক দলের প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে না? মানুষ রাজ্যপালের কাছে আরও রাজপুরুষোচিত আচরণ প্রত্যাশা করে।” কিছুদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জয়প্রকাশ। তখনই অনেকেই মনে করেছিলেন যে, তিনি হয়তো এবার দল ত্যাগ করতে পারেন। আসন্ন পুরভোটেও যে জয়প্রকাশ প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থাকবেন না তাও স্পষ্ট করেছেন। আর আজকের এই টুইট তাঁর দল বদলের জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল। কারণ এইভাবে কোনও বিজেপি নেতা এখনও পর্যন্ত সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেননি।
নেতাজি ইন্ডোরে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যেই কড়া ভর্ৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ওই জেলায় কি তাঁর কাজ করতে ভয় করছে? রাজ্যপাল কি তাঁকে ফোন করছেন? উত্তর না শুনেই মমতার বার্তা ছিল, সে যেন মনে রাখে যে সে রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে, অন্য কারোর জন্য নয়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং টুইটারে এর ভিডিও শেয়ার করে রাজ্যপাল লেখেন, ”কী উদ্বেগজনক দৃশ্য! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইছেন, ‘রাজ্যপাল কি আপনাকে ফোন করেন’? এই ঘটনায় ওপর অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের মেরুদণ্ডের ওপর আঘাত করেছেন।”