পার্থর আমলে কলেজ সার্ভিস কমিশনেও দুর্নীতি? মন্ত্রীর ‘বিপদ’ বাড়িয়েছেন প্রাক্তন বিধায়কও

কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে চাকরি প্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে। এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির চেয়েও কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে আরও অনেক বেশি দুর্নীতি হওয়ায় প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যরা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১৮ সালে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী পদেও দায়িত্বে ছিলেন।

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে চাকরি প্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে। এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির চেয়েও কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে আরও অনেক বেশি দুর্নীতি হওয়ায় প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যরা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০২০ সালে অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের সময় থেকেই দুর্নীতির কথা জানিয়ে তাকে বেশ কয়েকবার ই-মেল ও চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলেও চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০১৮ সালে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী পদেও দায়িত্বে ছিলেন।   

আরও পড়ুন- শিক্ষিকাকে প্রায় বিবস্ত্র করে মার! দোষীদের শাস্তির দাবিতে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আপাতত গ্রেফতার হয়ে ইডি হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তবে এর মাঝেই ইঙ্গিত মিলেছে যে তিনি টেট কেলেঙ্কারির সঙ্গেও যুক্ত। তাঁর বাড়ি থেকে সেই রকম কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। এতকিছুর পর এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যে ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে সেখানে উচ্চ শিক্ষা দফতরের খামও পাওয়া গিয়েছে। এতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে আরও বড় বিপদে পড়তে চলেছেন যা বলাই যায়, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

এদিকে, রাজ্যের মন্ত্রীর ‘বিপদ’ আরও বাড়িয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে এসএসসি’র মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্য নিজের বিধায়কের লেটারহেডে পাঁচ জনের নাম দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। তবে কেউই নিয়োগ হয়নি। এমনকি তাঁর দাবি, তাঁর ছেলেমেয়ে দু’জনেই টেট উত্তীর্ণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুপারিশে ওদের নামও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছিলেন। তাদেরও চাকরি হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =