উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, এখনই ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগ নয়

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, এখনই ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগ নয়

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগে ‘না’ বিচারপতির।

আরও পড়ুন- আরও নামল কলকাতার পারদ, শীতের শিরশিরানি জেলায় জেলায়

এদিন পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ অফিস বন্ধ থাকায় নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব নয়৷ আদালতের প্রশ্ন, কীভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হয়েছে? ‘কমিশন নিজেও জানে যে তারা স্বচ্ছ নয়’, মন্তব্য বিচারপতির। ২০১৬-য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ ২০১৭ সালে সালের জুন মাসে শুধু মাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে হয় পার্সোনালিটি টেস্ট৷  ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের তারিখ জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ঘোষণা হয়৷  

আপাতত দু’দিনের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এখন কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি।

মামলাকারী সোমা রায়ের অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে তাঁর নাম নেই। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে মোট ৭২ নম্বর পেয়েছেিলেন। কিন্তু ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়৷  তিনি আরও জানান,লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ এবং অ্যাকাডেমিক স্কোর হিসাবে ২২ পাওয়ার পর তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হয় ৭৬৷ কিন্তু, তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭২ নম্বর। পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বরও যোগ করা হয়নি!